অনলাইন ব্যবসা ফেসবুকে এত নির্ভরশীলতা কেন? কি করা উচিত?

মার্ক জাকারবার্গের তৈরি আশ্চর্য এক প্রদীপ ফেসবুক। এই আশ্চর্য প্রদীপে প্রতিনিয়ত এগিয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা-বাণিজ্য। ফেসবুক এখন মানুষের আস্থার একটি স্থান হয়ে দাঁড়িয়েছে। যেখানে মানুষ ২০১৬ সালে ফেসবুক লাইভ ফেচারস আসার পর বিভিন্ন রকম ব্যবসা তো শুরু করেছেই, এমনকি চাকরিসহ বিভিন্ন ধরনের লেটেস্ট নিউজগুলোর আপডেট ও ইয়াং জেনারেশন ফেসবুক এর মাধ্যমে জানতে পারছে। খরচ কম ও অনেক বেশী সুবিধা  থাকায় ফেসবুকে মানুষ অনলাইন ব্যবসা এর প্রতি দিন দিন নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে।

মানুষের কাছে নিজের পণ্যকে পৌঁছানোর জন্য সবচেয়ে ভালো উপায় বা মাধ্যম হচ্ছে ফেসবুক। ফেসবুকের মাধ্যমে যারা আপনার পণ্য বা সেবা নেওয়ার জন্য প্রস্তুত, তাদের কে আপনি সহজেই খুঁজে পাবেন। ফেসবুকে আপনার ব্যবসা কেন্দ্রিক একটি কমিউনিটি তৈরি করা যায় যেখানে সবাই পণ্যের বিষয়ে সমালোচনা বা  তাদের মতামত জানাতে পারবে।

প্রিয় পাঠক, বিস্তারিত জানতে হলে এই আর্টিকেল টি সম্পূর্ণ পড়ুন-

অনলাইন ব্যবসা ফেসবুকে এত নির্ভরশীলতা কেনঃ

Facebook Marketing যা সংক্ষেপে  এফ মার্কেটিং নামে পরিচিত, তবে নামে ভিন্নতা থাকলে এটাও আর পাঁচটা সাধারণ মার্কেটিং এর মতোই। শুধু মাধ্যম হিসেবে এখানে ব্যবহার করি ” Internet ” ও ” Facebook “। বর্তমানে সারা বিশ্বে জনপ্রিয় যোগাযোগ মাধ্যম হল ফেসবুক। ফেসবুকের মাধ্যমে কোন পণ্য বা সেবার প্রচারণা করে দেয়াকেই ফেসবুক মার্কেটিং বলা হয়।

ফেসবুক সারা বিশ্বে সোশ্যাল মিডিয়া হিসেবে জনপ্রিয়, সেই সাথে বিজনেস এর ক্ষেত্রেও জনপ্রিয়। তবে বিজনেস করার জন্য আমরা ফেসবুক মার্কেটিং এর উপর বেশি নির্ভরশীল। কারণ এই মার্কেটিং পদ্ধতির মাধ্যমে আমরা  খুব সহজেই টার্গেটেড  অডিয়েন্সের কাছে পৌঁছাতে পারছি। একটি brand, product, আর একটি ই-কমার্স website থাকলে আপনি সহজেই ফেসবুক মার্কেটিং করে আয় করতে পারবেন। নিজের একটি অনলাইন ব্র্যান্ড (online brand) তৈরি করার জন্য ফেসবুক মার্কেটিং অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আপনি যেকোনো জায়গা, শহর, দেশ বা লোকাল এরিয়া টার্গেট করে নিজের ব্যবসার বিজ্ঞাপন দিতে পারবেন। Facebook এ বাংলাদেশের লক্ষ লক্ষ ইউজার রয়েছে, তাই এখানে ফেসবুক মার্কেটিং করে প্রচুর গ্রাহক পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এবং কম খরচেই আপনি এই বিজনেস টি শুরু করতে পারবেন। তাই প্রতিনিয়ত আমরা  ফেসবুক মার্কেটিং এর উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছি। ফেসবুকের মাধ্যমে অনলাইনে ব্যবসার ক্ষেত্রে যে কাজগুলো গুরুত্বপূর্ণ বা করা উচিত –

  • গ্রাহকদের সংস্পর্শে থাকা।
  • গ্রাহকদের চাহিদাগুলো শোনা।
  • বিভিন্ন ইভেন্টের আয়োজন করা।
  • বিভিন্ন অফার প্রাইজ দেওয়া।
  • ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দেওয়া।

বে লেগে থাকলে একদিন সফলতা আসবেই। লিঙ্কডিন, ইনস্টাগ্রাম, টুইটার, হোয়াটসঅ্যাপ এই সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মগুলো তে পেইড অ্যাড সার্ভিসও আছে। যেগুলো তে ভিজিটর যত বাড়বে জনপ্রিয়তাও তত বাড়বে ঠিক ফেসবুকের মতই। আমাদের এই সোশ্যাল সাইটে সময় দিতে হবে, নিয়মিত এসে পোস্ট করতে হবে। কমিউনিটি বিল্ড আপ করতে হবে এবং অন্যদেরও ইনভাইট করতে হবে। আমরা যেভাবে ফেসবুক কে জনপ্রিয় করেছি ঠিক তেমনি এখানে আমাদের কাজ করতে হবে। আপনি শুরু করেই দেখুন, প্রথমে ১০ জনকে বলেন, এরপর তারা ৫০ জনকে বলবে এভাবে শুরু হবে। আমি আপনাদের বলব না সব মিডিয়াতে একসাথে কাজ করেন। যেকোনো একটি সাইট নির্বাচন করুন এবং সেখানেই কাজ শুরু করে দিন। আপনি কোন মার্কেটপ্লেস এ কাজ করছেন সেটা জরুরি না, সেটা ফেসবুক না হলেও কোন কিছুই ম্যাটার করে না। ম্যাটার করে যেখানে আপনি কাজ করছেন সেখানে ভিজিটর আছে কিনা কিংবা সেখানে তারা নিয়মিত কিনা। যখন দেখবেন সেখানে টার্গেটেড ভিজিটর আছে এবং সেখানে তারা নিয়মিত সময় কাটায় তখন ব্যবসায়ীরা অটোমেটিক্যালি সেখানে বিজনেস শুরু করবে।

নিজেদের একটা প্লাটফর্মের কথা চিন্তা করাঃ

আপনি যদি অল্প সময়ে ই-কমার্স মার্কেটিং এ সফল হতে চান তাহলে শুধু ফেসবুক মার্কেটিং এর উপর নির্ভরশীল হলে চলবে না। আপনাকে নিজের একটা প্ল্যাটফর্ম এর কথা চিন্তা করতে হবে। ই-কমার্স ওয়েবসাইট হতে পারে আপনার জন্য অন্যতম একটি সেরা প্ল্যাটফর্ম। কারণ একটি কমার্শিয়াল ওয়েবসাইট এ আপনি আপনার কাস্টমার এর জন্য ব্লগ লিখে আপনার বিজনেস এর প্রোডাক্টগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানাতে পারবেন। এমনকি ই-কমার্স ওয়েবসাইট এ বিভিন্ন ক্যাটাগরি এবং সাব – ক্যাটাগরি রয়েছে যার মাধ্যমে আপনার প্রোডাক্টগুলো খুব সুন্দর ভাবে সাজিয়ে রাখতে পারবেন। এতে আপনার কাস্টমারদের পছন্দসই প্রোডাক্ট খুঁজে নিতে কোনো ধরনের ঝামেলা হবে না। আবার ই-কমার্স ওয়েবসাইট এ রয়েছে পেমেন্ট গেটওয়ে মেথড। ই-কমার্স ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে আপনি একজন কাস্টমার এর শপিং কে করে তুলতে পারেন নিরাপদ, সাবলীল এবং আনন্দময়। আর কাস্টমারদের স্যাটিসফাইড করার মাধ্যমেই আপনি নিজের একটি প্ল্যাটফর্ম মজবুত করতে পারবেন। এজন্যই ই-কমার্স ওয়েবসাইট কে সফলতার মূলমন্ত্র বলা হয়

 

 

 

 

Leave a Comment